ডায়রিয়া হলো এমন একটি রোগ যখন দিনে তিন অথবা তার অধিক বার পাতলা মল নির্গত হয়।কোনো কোনো মানুষের দিনে তার থেকেও বেশি পাতলা মল নির্গত হতে পারে।এটি সাধারণত ব্যাকটেরিয়া, প্যারাসাইট বা ভাইরাসের আক্রমণের কারণে হয়। ডায়রিয়া হলে করণীয় কি এটা আমাদের জানা জরুরি কারণ যদি কয়েক দিন পর্যন্ত এটি স্থায়ী হয় তাহলে অতিরিক্ত তরল বেরিয়ে যাওয়ার কারণে পানিশূন্যতা দেখা দিতে পারে।
Table of Contents
Toggle০১.ডায়রিয়া হলে করণীয় কি
ডায়রিয়া হলে আমাদের শরীরে পানিশূন্যতার প্রবণতা সবচেয়ে বেশি দেখা যায়। পানিশূন্যতার হার যদি কোনো কারণে খুবি তীব্র হয় তাহলে তা বিপদজনক হতে পারে – বিশেষ করে শিশু কিশোরদের জন্য এটি লক্ষনীয়।
- শরীর থেকে যে পরিমাণে লবণ ও পানি বেরিয়ে যাচ্ছে তা ভালোভাবে পূরণ করার জন্য রোগীকে বার বার খাবার স্যালাইনসহ তরল খাবার বেশি করে খাওয়াতে হবে
- যতোবার পাতলা পায়খানা অথবা বমি হবে ততোবার করে সমান পরিমাণ এ খাবার স্যালাইন খাওয়াতে হবে রোগীকে, কোনোভাবেই এর কম খাওয়ানো যাবেনা
- রোগীকে পুষ্টিকর এবং স্বাভাবিক খাবার খেতে দিতে হবে যাতে করে রোগ দ্রুত কমে যায়
০২.শিশুদের ডায়রিয়া হলে করণীয়
শিশুর ডায়রিয়া হলে মায়ের বুকের দুধের পাশাপাশি খাবার স্যালাইন খাওয়ানো উচিত। এছাড়া শিশুদের মধ্যে নিম্নোক্ত উপসর্গগুলির দেখা গেলে সরাসরি একজন ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিৎ বলে মনে করা হয় :
- ২৪ ঘন্টার বেশি সময় ধরে ডায়রিয়া থাকলে
- যদি শরীরে জ্বর থাকে (১০২ ডিগ্রী বা তার বেশি)
- তলপেট বা মলদ্বারে যদি গুরুতর ব্যাথা হয়
- মলের সাথে রক্ত বের হওয়া
- মলের রং যদি কালো হয়
- পানিশূন্যতার লক্ষণ যদি দেখা দেয়
০৩.প্রাপ্ত বয়স্কদের ডায়রিয়া হলে করণীয়
প্রাপ্তবয়স্কদের যদি ডায়রিয়া হইয় তাহলে বার বার খাবার স্যালাইনসহ তরল খাবার ও পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে। তবে নিম্নোক্ত উপসর্গগুলি দেখা দিলে সরাসরি একজন ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত :
- ডায়রিয়া যদি শরীরে ২ দিনের বেশি থাকে
- যদি শরীরে জ্বর থাকে (১০২ ডিগ্রী বা তার বেশি)
- বার বার বমি হওয়া
- সারাদিনের মধ্যে (২৪ ঘন্টা) যদি ৬ বার অথবা তার থেকেও বেশি পায়খানা হয়
- তলপেট বা মলদ্বারে গুরুতর ব্যাথা অনুভব হলে
- মলের সাথে রক্ত বের হওয়া
- মলের রং যদি কালো হয়
- পানিশূন্যতার লক্ষণ যদি দেখা দেয়